বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সমিতির ইতিহাস


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


অষ্ট্রিয়ায় বসবাসরত বৃহত্তর নোয়াখালীর জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি গঠন করা হয়। এ সমিতি গঠন করার মূল উদ্দেশ্য হল, আমরা যে দেশে আছি এবং যে দেশে জন্মগ্রহন করেছি, এই দুই দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক কালচার একেভারেই ভিন্ন। আবার আমরা একজন এক এক ভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। এই রাজনৈতিক কারণে  আমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। যার কারণে আমরা সমস্ত সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে বিভিন্ন মত ও পথের সবাইকে একত্রিত করে দেশ ও সমাজকে কিছু দেওয়ার জন্য এই সংগঠনের সৃষ্টি।

এই সংগঠন সৃষ্টিতে সর্বপ্রথম যারা উদ্যেগ নিয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জনাব সফিকুর রহমান বাবুল, জনাব মোশারফ হোসেন আজাদ, জনাব মনোয়ার পারভেজ, জনাব হুমায়ুন কবির। বিভিন্ন সময় তারা রকমারি ফুডস ও মিলিনিয়ামসিটিতে সমিতির গঠন প্রণালী নিয়ে বৈঠক করেন এবং ভিবিন্ন পর্যায়ের লোকদের সাথে মত বিনিময় করেন । এদের মধ্যে যারা সমতিকে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সার্বিক ভাবে শ্রম দিয়েছেন তারা হলেন যথাক্রমে , জনাব আবুল কাশেম, জসিম মিয়া বাবু, সফিকুর রাহমান মাসুদ, নুর হোসেন রানা, জাফর ইকবাল, মোঃ সুমন, সাইফ আহমেদ, ফিরোজ হাই, তাহমিদ বিল্লাহ, অপু হাসান, মুরাদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, মামুন-উর রশিদ, সুমন মিয়া, আবুল কালাম সহ আরও অনেকে । উল্লেখ্য আমাদের এই সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের জাতীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কালচার এই প্রবাসে তুলে ধরা এবং সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে সমাজকে সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। যদিও এই সংগঠন বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের লোকজন নিয়েই গঠন হয়েছে, তারপরও আমরা শুধু বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল ভিত্তিক এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখি নাই। আমরা সমগ্র বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য কার্যক্রম ও কর্মসূচি গ্রহন করে থাকি। যাতে এর সুফল সবাই ভোগ করতে পারে।

কর্মতৎপরতার এক পর্যায়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন  ব্যক্তিদের যথাযথ পদ নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয় । জনাব  মোশারফ হোসেন আজাদ সালমান কবির সোহাগকে কমিটির সভাপতি অথবা সেক্রেটারির পদ নেওয়ার জন্য প্রস্তাব জানান, জনাব সালমান কবির সোহাগ তার কর্মক্ষেত্রে সময়ের সংকীর্তনতার কারনে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আশ্বাস দেন যে, সমতির সার্বিক  কার্যক্রমে পাশে থাকবেন । বিগত ০৮-০৭-২০১২ইং তারিখে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে রকমারী ফুডস্ অস্ট্রিয়ায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সমিতির নাম করণ করা হয় সবার সম্মতিক্রমে। জনাব মনোয়ার পারভেজকে সভাপতি ও জনাব আবুল কাসেমকে সেক্রেটারী করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। অষ্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী কোন সংগঠন করতে হলে সরকারীভাবে অনুমোদন নিতে হয়। সে অনুযায়ী এই কমিটি অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী সমিতি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ০৪-০৯-২০১২ইং তারিখে রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম অফিসিয়াল ভাবে শুরু হয়। প্রথম নির্বাচিত কমিটি তার মেয়াদকালে বাংলাদেশী মসজিদগুলোতে ইফতার পার্টি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধূলা, আর্থিক অনুদান, পিকনিক পার্টি, গ্রীল পার্টি এবং রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহনকারীদেরকে সহযোগীতা করাসহ নানাবিধ কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে করেছেন এবং এই সমস্ত কার্যক্রম অধ্যাবদি অব্যাহত আছে।

প্রত্যেক কমিটি দুই বৎসর মেয়াদকালের জন্য নির্বাচিত হন। এই ধারাবাহিকতায় পুরাতন কমিটির মেয়াদকালে শেষ পর্যায় এক সাধারন সভা ০১-০৩-২০১৫ইং অনুষ্ঠিত হয়, এতে জনাব মনোয়ার পারভেজ পুনরায় সভাপতি এবং জনাব সালমান কবির সোহাগ সেক্রেটারি হিসেবে  নির্বাচিত হন । বর্তমান কমিটি  সুনামের সহিত তাদের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আমাদের এই কার্যক্রমের অংশ হিসাবে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমরা সমিতির নামে ওয়েভ সাইট কার্যক্রম শুরু করেছি। এর সুফল বৃহত্তর নোয়াখালীবাসী এবং বাংলাদেশী কমিউনিটি উপকৃত হবে। আমরা বৃহত্তর নোয়াখালীবাসীসহ তথা বাংলাদেশী কমিউনিটির সর্বস্তরের  সহযোগতিা কামনা করছি।